শিরোনাম

আজ বাংলার খোকার জন্মদিন | তৌহিদুজ্জামান তৌহিদ - কুঁড়েঘর


আজ বাংলার খোকার জন্মদিন
 
ছবি. ১৯৪৩ সালে শেখ মুজিব। সৌজন্যে বঙ্গবন্ধু ট্রাস্ট।
শেখ মুজিব একটি চেতনার নাম, একটি অনন্য ইতিহাস। পরিবারের আদরে যার ডাক নাম ছিল খোকা, সেই খোকা আজ বাঙ্গালির অহংকার। বুধবার এক শুভক্ষণে জন্ম নেওয়া পরিবারের খোকা যে বাংলার খোকা হয়ে যাবে কে জানত সে কথা? বুধবারের সেই শুভক্ষণ ছিল ১৯২০ সালের ১৭ই মার্চ। শেখ লুতফর রহমান আর মোসাম্মাত সায়রা খাতুনের ঘর আলো করা এই খোকার পড়াশোনা শুরু হয় ১৯২৭ সালে গিমাডিঙ্গা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। সময়ের সাথে পাড়ি দিয়ে কলকাতা ইসলামিয়া কলেজ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েও পড়াশোনা করেছেন। দাবি আদায়ে সোচ্চার ছিলেন সেই ছোটবেলা থেকেই। ছাত্রাবাসের উন্নতির জন্য শেরে বাংলার পথ আগলে দাঁড়িয়ে ছিলেন কিশোর বয়সেই। মানব দরদের পরিচয়ও জানা যায় মুজিবের বাল্যকাল থেকে। নিজে বৃষ্টিতে ভিজে গরীব বন্ধুকে ছাতা দিয়ে বাড়ি ফেরা, শীতের কুয়াশায় কম্পিত বৃদ্ধার গায়ে নিজের চাদর জড়িয়ে দেওয়া কিংবা কৃষকের দুর্ভোগে পরিবারের গোলাঘর থেকে ধান বিলিয়ে দেওয়ার কথা প্রায় বাঙালীই জানে।
লেখক : তৌহিদুজ্জামান তৌহিদ
ঢাবিতে আইন বিভাগে পড়া মুজিব রাজনীতির মাঠেও ছিলেন সফল চাষা। বলিষ্ঠ নেতৃত্ব দিয়ে জনসাধারণকে আবদ্ধ করার জাদু জানত এই মুজিব। ১৯৭১ সালে বাঙালি যখন ক্ষুব্ধ ছিল পাক শোষকদের প্রতি তখন মুজিব নিয়ে এল অমীয় বাণী। রমনা রেসকোর্সে রবীন্দ্রনাথের মতো দীপ্ত পায়ে হেঁটে মঞ্চে দাঁড়িয়ে যে কবিতা শুনিয়েছিলেন বাঙ্গালিকে তা ছিল আরও একটি একক ইতিহাস। ১৮ মিনিটের এই কথাগুলো আজ বিশ্ব প্রামাণ্যচিত্র হিসেবে বিশ্ববাসীর কাছে আজ নন্য দলিল। লাল সবুজের যে ভুখণ্ড এনে দিয়েছিল মুজিব তাঁর নাম ১৯৬৯ সালের ৫ অক্টোবরই ঠিক করে রেখেছিলেন তিনি নিজেই। কিন্তু , ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট বাংলাদেশের এই ভূমিতে ঘটে এক কালো ইতিহাস। কতিপয় বিপদগামী এই স্বপ্নদ্রষ্টাকে রুখে দেয় শারীরিক নেতৃত্ব প্রদানে। যার একটি তর্জনী বাঙালির স্বাধীনতা এনে দিয়েছিল তাঁর চেতনা, তাঁর আদর্শ রুখে দেওয়া যায় না কোন কালো ইতিহাস রচনা করে। যতদিন বাঙালি থাকবে ততদিন স্মরণে থাকবে শেখ মুজিব। কবির ভাষায়-
যতদিন রবে পদ্মা, মেঘনা, যমুনা, গৌরি বহমান-
ততদিন রবে কীর্তি তোমার শেখ মুজিবুর রহমান
বাঙালি হৃদয়ে অমর এই নেতার ৯৯তম জন্মদিনে সকল বাঙালি প্রাণে মুজিব আদর্শ ফুটিয়ে তোলার প্রত্যাশা  হউক প্রতিটা প্রাণে।

No comments